মা তোমায় প্রণাম
‘মা’ তোমায় প্রণাম (Link)
মা,
তোমার থেকেই আলো দেখা
তোমার হাতে হাতেখড়ি
তোমার কাছে আঁকতে শেখা
তোমার গলায় গানের কলি
তোমার হাতেই জলপটি।
ইচ্ছে করে,
ছুট্টে গিয়ে তোমায় জড়িয়ে ধরি,
কোলে বসে বুকের ভেতর মুখটা গুঁজি।
মা,
দাওনা আমায় ঝিনুক বাটি,
ছোটবেলার খেলনা বাটি,
ভাললাগার সঙ্গী সাথী,
খেলি আমি আপন মনে
ঘুরে ঘুরে তোমায় দেখি।
মা, আমার মা
চাওয়া পাওয়ার মা,
সখ আহ্লাদের মা,
সান্ত্বনা প্রলেপের মা,
জ্বালা জুড়ানোর মা,
মা, এসোনা তোমায় আদর করি,
তোমায় প্রণাম।
মনে পড়ে, ফিরছি সেদিন
ছোট স্কুল থেকে ছোট পায়ে
ছোট ব্যাগ ছোট্ট কাঁধে
বায়না ধরে পরেছি ঝুলে
তোমার কোমল হাতটি ধরে।
চেয়েছি আমি,
একতারা, ডুগডুগি, বাঁশের বাঁশী,
লাল লাঠি লজেন্স কিংবা মুখোশ,
দিয়েছ তুমি সবই,
যেমন চেয়েছি আমি,
প্রণাম, তোমায় প্রণাম।
মনে পড়ে যখনই আসি আমি,
এই পথের বাঁকে কৃষ্ণচূড়ার কাছে,
খুঁজি ঘাসের ওপর,
হারানো সঙ্গী আমার,
সেই আদর জড়ানো ফিডিংবটল,
হয়ত আজও দেখে সে আমায়, মুচকি হাসে।
মনে পড়ে, শীতের দুপুরে
খেলছি এক্কাদোক্কা দুজনেতে মিলে,
তুমি দাঁড়িয়ে সাগরে,
আমি শুরুর ঘরে,
সেপটিপিনের ঝোপা ফেলে
লাফাচ্ছি পায়ে পায়ে
ঘর পেরিয়ে অন্য ঘরে
থমকে গেলে পারাপারে
বলেছো হেঁকে আয়, আয়
ভয় নেই এইতো আমি
মা, তোমায় প্রণাম।
মনে পড়ে কৃষ্ণ সাজে আমি
মাখায় মুকুট, হাতে বাঁশী,
পা ঝুলিয়ে বসে কদমডালে,
যশোদা হয়ে হাসছ তুমি আমায় দেখে
মা, তোমায় প্রণাম।
মা,
ধর আমার হাত, চল যাই,
রাইন নদীর পারে নয়
কোপাইয়ের ধারে
সোনাঝুরির হাটে
গ্রীষ্মের উদাস দুপুরে
একতারা হাতে,
মেতে উঠি বাউল গানে
একঝাঁক বৃষ্টি ধেয়ে এলে
কাকভেজা ভিজি দুজনে
বড় সাধ জাগে মনে।
মা,
আস্তো আকাশ জুড়ে দেখি তোমায়,
মাতঙ্গিনির তেজে,
মাদার মেরীর স্নেহে,
মাদার টেরিসার মমতায়,
মা সারদার বরাভয়ে
তোমায় প্রণাম।
জন্ম পেরিয়ে জন্মে
থেকো তুমি মা হয়ে
ধণ্য হব তোমায় পেয়ে
তোমায় প্রণাম
মা, তোমায় প্রণাম ।।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন