পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দুঃখ আমার বেঁধেছে চরণ

ছবি
https://youtu.be/LWiDWkIJyIQ আজ আর অভাবকে " অভাব " নামে চাইনা চিনতে , তাই ভাবি , দুঃখ আমায় করেছে বরণ , দুঃখ , আমার বেঁধেছে চরণ । রাত বেরাতে , চ্যাপটা গলি গলে , আমার ভাড়া করা জানালার ধার ঘেঁষে যেতে যেতে উঁকিমারে , হাফ পর্দার মাথা টপকে , খোঁজে সে আমায় , বাজখাঁই গলা চড়িয়ে বলে , দীনকর , জেগে আছো ?  বেশ , শুনে রাখো , এবার পাওনা না মেটালে হামলা হবে ঘরে বাইরে , দিনে দুপুরে টান পড়বে , তোমার মেয়ের গতরে , কাল এসো গাছতলায় , হিসেব নিকেশ পাকা হবে , পন্য বিনিময়ের রফা হবে , তোমার ঋণ মুকুব হবে , বিনিময়ে পন্য আমার হবে , মনে রেখো , টিকবে না কোনো অভিযোগ , অনুযোগ , কারো কাছে , রাজনীতির ছত্রছায়ায় রয়েছি আমি , সব ক্ষমতার লাগাম আমার হাতে , ত্রাতা আমি , ত্রিকাল আমি , ভরসা আমি , সুখ আমি , অসুখও আমিই , ঘুমোও তুমি স্বপ্ন দেখো , নিশ্চুপ রাতটা কাটুক , " অভয় ' র " সন্ধানে হন্যে হয়ে ছুটতে থাকো ।   কর্পোরেশনের দেয়াল আলোর   আধো আলো ছায়ায় , উজ্জ্বল রূপ

একেই কি বলে নরক

ছবি
  https://www.youtube.com/watch?v=3DXaAr3R_Rw&t=59s অপেক্ষার শেষ, শুরু হয়েছে ক্ষণ গোনা, আসছে মা, আসছে, দেখাচ্ছে ওরা, একশ দিন, নব্বই দিন আশি দিন, সত্তর দিন, কমতে কমতে এলো   সেই   বোধন, মা, তুমি এলে, ছেলে মেয়েরা এলো, হাজির, মহিষাসুরও সশরীরে, গত বিসর্জনে "ওরা" বলেছিল, "আসছে বছর আবার হবে", এবারের প্রেক্ষাপট অন‍্য প্রকারান্তর, যদিও কমেছে পশু বলি, মানুষ বলি কিন্তু যত্রতত্র, পশু আর মানুষে বিভাজন নেই আর, শিক্ষা ঢেকেছে আস্তরণে, দেব দেবী এখন নেপথ‍্যে, নাটমন্দির যেখানে সেখানে, রাজনৈতিক চিহ্নে সেজেছে হাড়িকাঠ, পেটের পরিধি বাড়ছে মানবকূলে, খাবারের যোগান চাই, চাই প্রসাধন, চাই বিলাসিতা, ভরপুর হওয়া চাই জীবন, কাম, কামিনী, কাঞ্চনে। বিশ্বাস, নির্ভরতার ঠাঁই নেই আর, অস্থিরতা, হিংসা, বিদ্বেষ, বেধেছে দানা রক্তবীজে, উল্লাস, আতঙ্ক, চলেছে পাশাপাশি, দেখছে সবাই, সইছে সবাই, পথ হারিয়েছে সংঘবদ্ধ প্রয়াস, অবরুদ্ধ এখন প্রতিবাদী কন্ঠ, এ জীবন-ছবি আমি চিনিনা, এমন জন্ম চাইনি কখনও, অচেনা এ দৃশ্য উত‍্যক্ত করে  অহরহ, সংগ্রামী মনে আমার, প্রতি রাতে নিভৃতে একান্তে, ধৈর্যের বাঁধের বাঁধন কেঁপে ওঠে অন্তহীন জল

বৃৃত্ত

ছবি
https://www.youtube.com/watch?v=VFfqL5Eu-sw // বৃৃত্ত // কেন্দ্রবিন্দু কে খুঁটি করে পাক খাচ্ছি বৃত্তাকারে, টপকাচ্ছি বৃত্ত, একে একে, বাড়ছে পরিধি পরের পর, বাড়ছে আনন্দ, বাড়ছে উল্লাস, অফুরন্ত আত্মবিশ্বাসে। ভরপুর উদ্দীপনায় চনমনে শরীর-মন, শূন্যে প্রসারিত দুহাতে দিচ্ছি সাড়া প্রত্যুত্তরে সার্বিক অভিবাদনের, পেছনে ফিরে দেখার অবকাশ  নেই আর কোন, শুধুই এগিয়ে চলা। হঠাৎ সমন হাতে হাজির "বার্ধক‍্য", ফতোয়া জারি "যৌবন শেষ", যদিও ছিল জানা, এমনটাই হতে পারে, তবুও ছিলনা প্রস্ততি একেবারে।   আমি, এখন বন্দী শেষ বৃত্তে, পাক খাচ্ছি আর পাক খাচ্ছি, আত্ম-নিয়ন্ত্রণহীন ঘূর্ণাবর্তে। বেড়ায় বেড়ায় ঘিরেছে বৃত্তকূল, পেছনে ফেরার সব পথ অবরুদ্ধ, ফ‍্যালফ‍্যাল করে তাকিয়ে আছি, কেন্দ্রবিন্দু সে তো এখন বহু দূরে, আমার নাগালের বাইরে। চোপসানো জীবন লাগছে এমনই, এখন শুধু ছেড়ে আসা আবছা ছবি, স্পষ্ট করার সর্বাঙ্গীণ চেষ্টা সময় জুড়ে, বারণ এখন ছোটাছুটিতে, বারণ ক্ষণিকের উত্তেজনায়, মেপে মেপে আহার-বিহার, বিনোদন, সময়ের নিরিখে নিয়ন্ত্রণ চলনে বলনে শারীরিক সার্বিক অঙ্গ প্রত‍্যঙ্গের। এ ভাবেই দেখা দূর থেকে, দূর্গা এলেন কলাবউ কাঁধে স