বৃৃত্ত




https://www.youtube.com/watch?v=VFfqL5Eu-sw


// বৃৃত্ত //

কেন্দ্রবিন্দু কে খুঁটি করে
পাক খাচ্ছি বৃত্তাকারে,
টপকাচ্ছি বৃত্ত, একে একে,
বাড়ছে পরিধি পরের পর,
বাড়ছে আনন্দ,
বাড়ছে উল্লাস,
অফুরন্ত আত্মবিশ্বাসে।

ভরপুর উদ্দীপনায়
চনমনে শরীর-মন,
শূন্যে প্রসারিত দুহাতে
দিচ্ছি সাড়া প্রত্যুত্তরে
সার্বিক অভিবাদনের,
পেছনে ফিরে দেখার অবকাশ 
নেই আর কোন,
শুধুই এগিয়ে চলা।

হঠাৎ সমন হাতে
হাজির "বার্ধক‍্য",
ফতোয়া জারি
"যৌবন শেষ",
যদিও ছিল জানা,
এমনটাই হতে পারে, তবুও
ছিলনা প্রস্ততি একেবারে।
 
আমি, এখন বন্দী শেষ বৃত্তে,
পাক খাচ্ছি আর পাক খাচ্ছি,
আত্ম-নিয়ন্ত্রণহীন ঘূর্ণাবর্তে।
বেড়ায় বেড়ায় ঘিরেছে বৃত্তকূল,
পেছনে ফেরার সব পথ অবরুদ্ধ,
ফ‍্যালফ‍্যাল করে তাকিয়ে আছি,
কেন্দ্রবিন্দু সে তো এখন বহু দূরে,
আমার নাগালের বাইরে।

চোপসানো জীবন লাগছে এমনই,
এখন শুধু ছেড়ে আসা আবছা ছবি,
স্পষ্ট করার সর্বাঙ্গীণ চেষ্টা সময় জুড়ে,
বারণ এখন ছোটাছুটিতে,
বারণ ক্ষণিকের উত্তেজনায়,
মেপে মেপে আহার-বিহার, বিনোদন,
সময়ের নিরিখে নিয়ন্ত্রণ চলনে বলনে
শারীরিক সার্বিক অঙ্গ প্রত‍্যঙ্গের।

এ ভাবেই দেখা দূর থেকে, দূর্গা এলেন
কলাবউ কাঁধে সাত সকালে
গঙ্গা হয়ে ঢাকের তালে ঠাকুর দালানে,
মাইকের কন্ঠে উচ্চারিত মন্ত্রপাঠ,
পুষ্প বিতরন, অঞ্জলি নিবেদন,
সন্ধিপূজার আয়োজন প্রজ্বলিত প্রদীপে,
নবমী নিশির নিস্তেজতায় 
ডুকরে ওঠে অসহায় এ মন,
রাঙিয়ে সিঁদুরে 
কপাল, কপোল, 
মিষ্টি মাখা ঠোঁটে,
বারান্দার নীচ ধরে মা চললেন,
আমি চেয়ে চেয়ে দেখলাম,
অস্ফুট জড়ানো শব্দ এলো বেয়ে
আমার আগলানো ঠোঁট বেরিয়ে 
দেখো মা, 
তোমায় যেন আবার দেখতে পাই,
দেখবো বলেই বাঁচতে চাই ।।





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

একেই কি বলে নরক

লালবাবু

हम हैं भारतवासी