পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তোমায় সেলাম তোমায় সেলাম

ছবি
//  তোমায় সেলাম তোমায় সেলাম //  খুশীতে আপ্লুত হয়ে জবান আমার জানান দিত "তোমায় সেলাম তোমায় সেলাম"| ভোরের সোনালি আলো  উঁকি মারে ফোকর ফসকে       আমার চালা ঘরে শুধোয়, আছো কেমন? কাটছে কেমন দিন কাল সময় অসময়ে সঙ্গী সাথী সহকারে? আমিও তো ভাবছি তাই হঠাৎ করে এসব কথা, সাতসকালে আপন ভেৰে, গা এলিয়ে এমন করে   বলার মত বলতে পাৱে, আশে পাশে এই ধরাধামে  আছে কি কেউ এমন আমার? মানছি, আকাশ বাতাস  জল, মাটি সবই মিলছে মুফতে সকলের জন্য মাটির ফসল, যা হয়েছে লালিত দু হাতে আমাদেরই রক্তমাখা ঘামে তবুও নয় কেন প্রাপ্য অংশ তার  আমাদেরই জন্য? অভুক্ত শিশু ডুকরে কাঁদে মাঝ রাতে, জানান দেয় তার সাবিক অধিকার, অক্ষম জন্মদাত্রী জাপটে ধরে শিশুকে বুকের মাঝে , ফ্যাল ফ্যাল চোখে  অশ্রু ঝরে পরে , চেয়ে থাকে ছবিতে ইষ্ট দেবতার | জন্ম লগ্নে এমন বিধান দিলে কেন ঈশ্বর যাতে রইল আঁধার রইল আলো, রইল প্রাচুর্য রইল বুভুক্ষু, বেঁচে থাকার এই কি মানে বঞ্চনায় আর শুধুই ব্যবধানে ||

রিং মাষ্টার

ছবি
  // রিং মাষ্টার // রিং মাষ্টার, রিং মাষ্টার, কি ভাবছ রিং-এ দাঁড়িয়ে, দৃষ্টি তোমার ঠেকেছে নীচে বিছানো জালে, তুমি খেলা দেখাও, আমরা দেখি, শো ভাঙে, আমরা ফিরে যাই ঘরে   ৷ জন্তু জানোয়ারের মাঝে, তুমি তাকিয়ে থাক, গন্ডারের চোখে, মাঝে মাঝে সিংহীটা, গর্জায় ভীষণ তোমার দিকে, কখনও কখনও, রাতের গভীরে শিম্পাঞ্জীটা ডেকে বলে, রিং মাষ্টার জেগে আছো? তুমি এদের নিয়েই আছো, বেঁচে আছো অনেককাল, চলেছে কতদূরে, তাঁবু ফেলে তাঁবুতে তোমার চলন গমন, দিনের অবসরে  তাকিয়ে থাকো হাতিটার শূঁড়ের দিকে, এঁকে দাও শূঁড়ের ওপর নক্সা, খড়ির দাগে, সুন্দর দেখাতে চাও তাকে   ৷ রিং মাষ্টার, অবিবাহিত রয়ে গেলে সারাটা জীবন, সাধ কি কিছু ছিল? এখনও বলো, পথ আছে কিছুটা বাকী, কি উত্তর দেবে সেখানে পৌঁছলে, শুধু রিং-এর খেলা দেখিয়েছ জীবন ভোর, ওখানে রিং-ও নেই,  পশুও নেই, মানুষও নেই, কারা খেলবে, আর কারা দেখবে, ওখানে শুধু ধূ ধূ মাঠ, ধূ ধূ মাঠ, আমি দেখিনি, শুনেছি কেবল, দেখব কি ক'রে বলো, দেখলে তো আর ফিরে আসা হ'ত না   ৷ আজও খেলা দেখতে চাই রিং মাষ্টার, তুমি রোশনাই-এ খেলা দেখাও আমি চেয়ে দেখি, যতদিন চোখের পাতা নাবে আর ওঠে, মাপটা মাপতে বারে বার ৷৷

নীল পাখি

ছবি
//  নীল   পাখি //  নী ল   পাখি , বলনা ,  এমন   হলেই বা   কেমন   হয় ? পরিচিত   আমরা   একে   অপরের , অথচ ,  কেউ   আমরা   কারো   নয় । বদলে   গেছে   কাল , বদলে   গেছে   অভিমান , সংবেদনে  নেই   আর   সুর   লয়   তাল , সবই   কেমন   যেন   অচেনা   মনে   হয় , স্বজনের   সংজ্ঞা  শু ধরে  গেছে   আজ দেখেছো   কি   কখনও ,  এমন   এ   রাজ ?   কাটছে   দিন   যৌবনে ,  যেমন   কাটে , আমোদ প্রমোদ   বিনোদনে   অভিসারে , ভালোলাগার   রামধনু   বড়ই   আপন , ভালোবাসার   বর্ষণ  সেতো   দুর্বোধ্য   এখন ।   বাউন্ডুলে   মন   ছুটে   যায়   ঘন   শালবনে , শ্রাবণ   ধারায়   মাটির   গন্ধে   মাতাল   হতে , গাছের   পাতা   বৃষ্টি   গায়ে   গান   গায় , অস্থির   মন   এগোতে   চায়   পায়ে   পায়ে ।   অস্থিরতা ,  অনীহা ,  এখন   বন্ধনে , সংযমে ,  আত্মিক   সংযোজনে , সুবিন্যস্ত   ডালপালায়   সংক্রমণ ঝড়ে   পড়ে   অকালে   আলগা   বাঁধনে ।   ধূসর   পথে ,  পলাশ   সেজেছে   আগুনে , ওরা   বসন্তের   গান   গায় , ওরা   তাল   তোলে   পায়ে , যৌবনকে   কাছে   পেলে ফুর্তিতে   ফুরাতে   চায় ।   বলোনা   নীল   পাখি , এমন   করে   সুখ   যদি আসে   জীবনে   সবার ক্ষয়   ক্ষ

মুখোশ

ছবি
   // মুখোশ // কেল্লার তুঙ্গে রাখা আছে রঙীন মুখোশ, দানবের ৷ চোখের কোটরে চোখ নেই, কানের লতি আছে, পর্দা নেই, নাসারন্ধ্র আছে, নিঃশ্বাস নেই, একমুখ দাঁতালো অট্টহাসি, শব্দ নেই   ৷ চোখের কোটরে চোখ ক মিলিয়ে দেখি, সামনে সংকীর্ণ পথ অনুশোচনার দালান বেয়ে ঠেকেছে দেবালয়ে  ৷ কাতারে কাতারে মানুষ পথ ভাঙছে আর ভাঙছে চলেছে পথে দিনরাত, নেশা তাদের মুখোশে, কোন অভিব্যক্তি নেই চোখে মুখে কপালে চুম্বনে, কেউ বলছেও না কি দেখলো সেখানে   ? শুধু আমি চেয়ে থাকি, দেখি কখন যে মানুষ হয়ে গেছে পিপীলিকার রেখা গেঁথেছে দানব তাদের, শুধু পিলপিল করে  চলছে অবিরাম, জানে কি তারা  কি পেল সেখানে ? মনের খোরাক তাদের মিলল কি না , আজও জানা নেই, অন্তর দিয়ে তারা বুঝল কি না সেও তো বোঝা গেল না, তবে, কিসের নেশায় মত্ত তারা ? তখনও কি তাকালো আকাশের দিকে, যেখানে আমি তাকিয়ে আছি   ৷ এখনও শরতের মেঘ ভেসে চলে  ৷ ক্লান্ত পথিকবর, পিপীলিকার মত বেয়ে  চলে পথ আর পথ, শূন্য আকাশে, "তারা" আর কত কাল ভেসে যাবে, এখনও কি মনে তাদের দ্বিধা দ্বন্দ্ব থেকে গেছে,  নাকি, কোন বারুদের গোলা  এসে পড়ে ভেঙে দেবে পথ, জলোচ্ছ্বাসে র  রেখা মুছে যাবে, শতাব্দী কি মনে রাখবে

মন

ছবি
  // মন // মন মেনেছে কি মনন, কখনও কারো, চাক্ষুস দেখেছে কি তাকে কেউ কখনও, প্রশ্ন যতই রাখো, কিন্তু উত্তর নেই কোনো প্রশ্ন যতই রাখো, কিন্তু উত্তর নেই কোনো । মন কখনও নরম, কখনও কঠিন, কখনও রঙিন, কখনও পাঙ্গাশ, কখনও দেখায় সে দিশা, কখনও আবার শুধুই হতাশা, বিচরণ তার এখানে, ওখানে, সেখানে, যত্রতত্র, জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে, নিশানা তার কখন কোথায়, ভাবার অবকাশই নেই কোনো, প্রশ্ন যতই রাখো, কিন্তু উত্তর নেই কোনো প্রশ্ন যতই রাখো, কিন্তু উত্তর নেই কোনো । প্রেয়সীকে প্রণয় দিতে চায় মন, পেতে চায় মন তার, সময় জুড়ে সারাক্ষণ, যে মন দিলে আজ ভেবে একান্ত আপন, কালের বিবর্তনেও সে কি থাকবে তেমন, প্রশ্ন যতই রাখো, কিন্তু উত্তর নেই কোনো প্রশ্ন যতই রাখো, কিন্তু উত্তর নেই কোনো । তবুওতো, পৃথিবী জুড়ে মন নিয়ে মাতামাতি,  ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে তার কারিগরি, বলতে পারো, পরশ কি তার পাবে কেউ কখনও? প্রশ্ন যতই রাখো, কিন্তু উত্তর নেই কোনো প্রশ্ন যতই রাখো, কিন্তু উত্তর নেই কোনো কিন্তু উত্তর নেই কোনো ।।