পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বুক পাতা সোনালী রোদ্দুর

  // বুক পাতা সোনালী রোদ্দুর // চলনা চড়ে আসি স্বপ্নিল পৃথিবীর  মায়াবী সিঁড়িতে যেখানে হাজারো প্রেমিকার  বুক পাতা সোনালী রোদ্দুর আজও আঁক কাটে আকার ইঙ্গিতে চলনা চড়ে আসি স্বপ্নিল পৃথিবীর মায়াবী সিঁড়িতে । এখন ভয় নেই মরীচিকায় মরণ এঁটেছে খিল দোরে তার ছেঁড়া ফাঁটা ঝোলা ঝুলে পরে কৃষাঙ্গ কাঁধ বেয়ে অস্থিতে আড়ি তার অসহায় অবলম্বনে চলনা চড়ে আসি স্বপ্নিল পৃথিবীর মায়াবী সিঁড়িতে। কবিতার বুকে‌ বুক সেঁকে প্রেম আর নয় সচল সেখানে সদর্পে আলিঙ্গন রঙিন শারিরীক ব্যাভিচারে। দক্ষিণের বাতাসে সাদা কালোয় কবিতার পাতা জুড়োয় জ্বালা তার ড্যাব ডেবে চেয়ে থাকা চেরা পাতার খাঁজে ঠিকানা তার গঙ্গা আঁকা চিরকুটে। চলো আসন পাতি  স্মরণ সভায় সজাগ শ্রবণে  সেদিনের উচ্চারিত  বুকের শব্দের কবিতা সোচ্চার হতে চায়  ভিতরে আমার। হাতে হাত রাখো জুড়িয়ে আসি অভিলাষ রজনীর আচমানে,  ধূপের ধোঁয়ায় আহ্লাদে, লুটোপুটি আদরে চলনা চড়ে আসি স্বপ্নিল পৃথিবীর মায়াবী সিঁড়িতে যেখানে হাজারো প্রেমিকার  বুক পাতা সোনালী রোদ্দুর আজও আঁক কাটে আকার ইঙ্গিতে ।।

পুতুল খেলা

ছবি
    // পুতুল খেলা //    অ পেক্ষায় ছিলাম, তুমি আসবে, পুতুল খেলা হবে, আমায় বলবে,  কই  কবে তোমার পুতুল বিয়ে ওদের নিয়ে এসো দেখাও দেখি রাজকন‍্যা, রাজপুত্তুর । খেলা হবে, ম‍েরাপ বাঁধা হবে, সানাই বাজবে, আসবে চিত্রকর, ঘোড়াওয়ালা, হালুইকর, মিলবে কন‍্যাযাত্রী, বরযাত্রী সাঙ্গপাঙ্গ, দলবল । অ পেক্ষায় ছিলাম, তুমি আসবে, পুতুল খেলা হবে। ভাবনায় সবই যেন, বেসুরা আলাপ, এখানে এমনই, অনুচ্চারিত শব্দে, অগোছালো ঠোঁট উঠছে কেঁপে বারবার, সামনে দাঁড়ানো দেয়াল, এপারে আমার আমি, ওপারে ওদের আমি, হারিয়েছে সাগর উজান স্রোতে নদী পেরিয়ে খাল হয়ে বিলে ।  সবই আজ অচেনা লাগে, সাগরের চওড়া বুকে ওঠে ঝড়, কাঁপে  বিলাপে, থেকে থেকে, নিরুত্তাপ বিল, বয়ে চলে দুকুলকে তুলে কোলে, আপনতালে, এভাবেই তো একা হয়ে যেতে হয় বাঁধন আলগা হতে হতে বন্ধন মুক্ত হয় । অ পেক্ষায় ছিলাম, তুমি আসবে, পুতুল খেলা হবে । এখন এখানে, সবাই একা হতে চায়, কেউ আগেও নয়, কেউ পেছনেও নয়, ছিদ্রান্বেষণে ব‍্যস্ত সকলে, গাল দিচ্ছে পরস্পরে, আঘাত হানছে একে অপরকে, বলছে গলা ছেড়ে, দুঃখ শুধু তোমারই, সামলে রাখো, ওর কোন ভাগ হবেনা । সবই যদি খেলা হবে, আসল তবে কোথায় কবে? প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নবানে জর্

রজনী জেগে আছো?

ছবি
   // রজনী জেগে  আছো? // ওগো, সুন্দরী ঝর্ণা, খুঁজে পেলাম তোমায়, পাহাড়ের কাঁধ বেয়ে অরণ্যের সাথী হয়ে নদীর কোল জুড়ে।  মুগ্ধ আমি তোমার হাসির মুর্ছনায়, কলকল শব্দে, কবিতার ধ্বনি  কানে বাজে , আরো বাজে, নিটোল পায়ে নুপুরের শিঞ্জন, হারিয়ে যাই আমি একান্তে, আমাতে । তোমার কটিতে রাঙানো  রামধনু রং, পার কি দিতে আমায়? সাজাতে চাই আমি নালার পাশে কুঁড়ে ঘরে  সয়ে থাকা মানুষের সুখ, যাদের কাছে নেই কোন ব্যবধান, সুখে, দু্ঃখে, কাতরে, স্বস্তিতে, আমি তাদেরই একজন। জানি আমি সুখী তুমি, সুখ তোমার বসন, সইবে না কাটা ছেঁড়া দাগ, ললাটে, গালে, চিবুকে, আমি তাই ফিরে যাই  বসতির বাসে, যেখানে সব বাসা হারিয়েছে বাস ঘিরেছে শূয়োরের পাল, চলছে লড়াই কুকুরে মানুষে, রাতের অন্ধকারে আস্তাকুড়ে। অশ্রাব্য গালিতে, চমক আমার, ভাঙ্গে মাঝরাতে, পাশ ফিরে দেখি, সুখ যায় জানালার পাশ ঘেঁষে চাঁদ ঢালা চালের নীচে। বলে যায়, রজনী, আবার আসবো ফিরে, কোন এক পূর্ণিমার জোছনায়, এই চাঁদ ঢালা চালের নীচে দাঁড়াবো জানালার পাশে, ডাকবো চাপা স্বরে "রজনী জেগে আছো? দেখ, সুখ এনেছি, সুখ, চাইলেই দিতে পারি,  দিতেই পারি, এক ফালি সুখ, এক ফালি সুখ" !!