রজনী জেগে আছো?
ওগো, সুন্দরী ঝর্ণা,
খুঁজে পেলাম তোমায়,
পাহাড়ের কাঁধ বেয়ে
অরণ্যের সাথী হয়ে
নদীর কোল জুড়ে।
মুগ্ধ আমি তোমার হাসির মুর্ছনায়,
কলকল শব্দে, কবিতার ধ্বনি কানে বাজে ,
আরো বাজে, নিটোল পায়ে নুপুরের শিঞ্জন,
হারিয়ে যাই আমি একান্তে, আমাতে ।
তোমার কটিতে রাঙানো
রামধনু রং,
পার কি দিতে আমায়?
সাজাতে চাই আমি
নালার পাশে কুঁড়ে ঘরে
সয়ে থাকা মানুষের সুখ,
যাদের কাছে নেই কোন ব্যবধান,
সুখে, দু্ঃখে, কাতরে, স্বস্তিতে,
আমি তাদেরই একজন।
জানি আমি সুখী তুমি,
সুখ তোমার বসন,
সইবে না কাটা ছেঁড়া দাগ,
ললাটে, গালে, চিবুকে,
আমি তাই ফিরে যাই
বসতির বাসে,
যেখানে সব বাসা হারিয়েছে বাস
ঘিরেছে শূয়োরের পাল,
চলছে লড়াই কুকুরে মানুষে,
রাতের অন্ধকারে আস্তাকুড়ে।
অশ্রাব্য গালিতে, চমক আমার,
ভাঙ্গে মাঝরাতে,
পাশ ফিরে দেখি,
সুখ যায় জানালার পাশ ঘেঁষে
চাঁদ ঢালা চালের নীচে।
বলে যায়,
রজনী, আবার আসবো ফিরে,
কোন এক পূর্ণিমার জোছনায়,
এই চাঁদ ঢালা চালের নীচে
দাঁড়াবো জানালার পাশে,
ডাকবো চাপা স্বরে
"রজনী জেগে আছো?
দেখ, সুখ এনেছি, সুখ,
চাইলেই দিতে পারি,
দিতেই পারি, এক ফালি সুখ,
এক ফালি সুখ" !!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন