পোস্টগুলি

মে, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কথা'র চালচিত্র

ছবি
 //  কথার চালচিত্র // বলতে হয় তাই বলছি, কথা তো তেমন কথার বিধান দেয়নি কখনও, যা হতেই হবে এমন, "কারো মুখে কোনও কথা নয় শুধুই কুলুপ এঁটে জোড়া ঠোঁটে দিন গুজরান জনে জনে"৷   তোমরা কান পাতো, শোন, কথা চলেছে, কথার মতন, আকাশে বাতাসে, এখানে ওখানে, কেউ কথা বলছে, কেউ শুনছে, কেউবা উত্তেজনার উপশমে বিরক্তির অভিব্যক্তিতে, কানে আঙুল গুঁজে, ভ্রূ কুঁচকেছে, কেউবা তৃপ্ত উপলব্ধিতে মগ্ন টুকরো টুকরো কথার মাধুর্যে ৷   একটু লক্ষ্য রাখো এদিক ওদিক, দেখো চলেছে কথা কাটাকাটি, রক্তচাপের ঘন ঘন প্ররোচনায় আলগা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ লাগামে, কথা ছুটছে বাঁধনহীন তীব্র গতিতে, হানছে আঘাত একে অপরে, সহনশীলতা আক্ষরিক অর্থে ধর্ম যাদের, তারাই সইছে নীরবে, অসহিষ্ণু মন মানে না বারণ, দুর্বিষহ জ্বালায় ছুড়ছে অবিরাম অসংলগ্ন কথার বাণ, কথায় যে কথা বাড়ে, থামাতে তো হবে প্রতিপক্ষকে, বোঝাতে যে হবে তার যুক্তিহীন যুক্তি, জারি রয়েছে এমনই বিরামহীন প্রচেষ্টা ৷   মনে কি পরে কথা'র জন্মলগ্ন? মনোরম এক মুহুর্ত, শিশুর প্রথম কথা, মায়ের কানে, আপ্লুত মায়ের ঠোঁটে,অস্ফুট কথা, কথার যাত্রা হলো শুরু, টপকে দিন, মাস, বছর, যুগের পর যুগ, শৈশব থেকে কৈশোরে, যৌবন

নাটক চলছে

ছবি
  //  নাটক চলছে   // মঞ্চ ছাড়ার ভাবনা ভাবাতে চাইলে কেউ আস্কারা দিওনা, তোমার জন্য আসন  সংরক্ষিত এখানে, পর্দা উঠেছে, জ্বলেছে আলো, নাটক চলছে,  একেবারে চুপ, ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে থাক, মুখে কুলুপ আঁটো, কান খোলা রাখ , ধৈর্য ধর, উৎকণ্ঠায় লাগাম টানো ৷ দেখ, ওরা কেমন সময় মেপে মঞ্চে আসছে আর যাচ্ছে, চলছে হাসির পালা, চলছে উল্লাস, উদ্দাম নাচ, শঙ্কিত কম্পিত  অসহায় নিস্তেজ মানুষ শান্তনায় স্বস্তি পেতে,  হাতড়াচ্ছে ছায়াদের, পিঠ ওদের ঠেকেছে  ইটের পাঁজরে, কান পাত শুনবে, গোঙানির শব্দ চাপা কান্না ৷ যারা দর্শক আসনে আছো, তাদের হয়তো ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে, ভেতরে ভেতরে প্রতিবাদ চাইছে সোচ্চার হতে, সহিষ্ণুতায় আস্থা রাখো, জমিতে পা মজবুত করো, বজ্রমুষ্ঠিতে বিশ্বাস আনো ৷ এবার তোমাদের পালা, একে একে মঞ্চে এসো, সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে বুক চিতিয়ে বলো, 'আমরা লড়ছি লড়বো, বাঁচার মত বাঁচবো"  | পারবেতো ,বলার মত বলতে, নাকি শঙ্কা বুকে চেপে, গুটি গুটি পায়ে রণে ভঙ্গ দেবে? পর্দা নামছে, মঞ্চে অন্ধকার, দর্শক আশন শূন্য,  নাড়া দেয় বুকের একান্তে  শুধুই শব্দ শূণ্যতার  শুধুই শব্দ শূণ্যতার শুধুই শূণ্যতার ||

এক চিলতে ছায়ার সাথে

ছবি
// এক চিলতে ছায়ার সাথে // শিরিষের ছায়ায় লুকোচুরি আলোর সাথে নীরব দুপুরে নব বধূ সাজে বাসন্ত বাঁধে বাসা চায়ের পল্লবে ভ্রমরের গুঞ্জনে ভালবাসা উষ্মতার রক্তিম অধরের আড়ালে পায়ে পায়ে পথচলা পথিক আড়ি ভাঙে আড় চোখে ধরা তো পড়েছি আমিও বসন্তের বাগিচাতে সেদিন ও ছিল এমনই দুপুর তোমার কাজল সাজা চোখ সাজিয়েছিল স্বপ্ন আমার চোখে হারানোর পথে হারিয়েছি অজান্তে পেরিয়ে গেছে বিশ বছর পেছনের পথ কেটেছে কারিগরে ইচ্ছের মাইলস্টোন দাঁড়িয়ে পাশে বাতাসের শন্ শন্ শব্দ সোচ্চার হতে চায় বারে বারে দাঁড়ানো শাল সেগূন  আছে দাঁড়িয়ে সেখানেই চোখে পড়ে এক ঝাঁক বক বয়ে যায় আকাশের পথ এমন ছবিও ভাসে বাতাসে মিগের ধোঁয়া ছুটে যায় উচ্ছিষ্ট ছিটিয়ে প্রান্তর পেরিয়ে প্রান্তরে আছি বসে পাহাড়ের খাঁজে বাগিচার পাশে এক চিলতে ছায়ার সাথে ||

তাইতো তুমি, তোমার মতো

ছবি
//  তাইতো তুমি, তোমার মতো // দেখোতো, আমায় চেনো কিনা? দেখেছো কি কখনও চলার পথে, পথ চলতি মানুষের ভীড়ে, একরাশ কোলাহলে, আনন্দ উচ্ছ্বাসে, আবার, আকাশ ভোরে  কাঁধে ঝোলানো বই ব্যাগে পাড়া পেরিয়ে স্কুলের পথে, আমি, সেই কুমারী ফ্রিল সাঁটা ফ্রক সাজে। দেখোতো, আমায় দেখেছো কিনা? পূজার মন্ডপে বসন্ত পঞ্চমীতে, অপরিণত শরীরে বাসন্তী বসনে, রিঠা ধোয়া, হাঁটু ছোঁয়া, এলো কেশে, হাসিতে যার, টোল ভাসে কপোলে, তার কাজল টানা ডাগর দুটি চোখ হ'তে, ফেরানো কি যাবে দৃষ্টি কারো? আমি, সেই ষোড়শী কিশোরী। মনে কি পড়ে কিছুকাল আগে, খোলা চুলে, বাহারি ব্যাগ কাঁধে, বাতানুকূল বাসের লাইনে দাঁড়িয়ে, ফোন কানে নিশ্চুপ অপেক্ষায়, কলেজে ক্লাশের হাজিরার তাগিদে। লাইনে দাঁড়ানো কয়েক জোড়া চোখ  অতন্দ্র প্রহরায় ঘিরেছে যাকে বসন্ত যৌবনে ভরপুর তার দেহ মন, আমি, এক উন্নাসিক সেই যুবতী। আমার বিদেশি সুগন্ধির আকর্ষণে, "ন টার" মেট্রোর ভীড় কামরায়, তুমি দাঁড়তে এসে, আমার পাশে, স্বল্প ফাঁকে, আমার গন্তব্য ছিল "ময়দান",  আমি নামতাম, তুমি চেয়ে চেয়ে দেখতে, আমি বুঝতাম, আমি যে এক তন্বী, মোহময়ী, রূপসী, মনে মনে আমি তা জানতাম। কত দিন দেখিনি তোমায়, আজ ব