পোস্টগুলি

বুক পাতা সোনালী রোদ্দুর

  // বুক পাতা সোনালী রোদ্দুর // চলনা চড়ে আসি স্বপ্নিল পৃথিবীর  মায়াবী সিঁড়িতে যেখানে হাজারো প্রেমিকার  বুক পাতা সোনালী রোদ্দুর আজও আঁক কাটে আকার ইঙ্গিতে চলনা চড়ে আসি স্বপ্নিল পৃথিবীর মায়াবী সিঁড়িতে । এখন ভয় নেই মরীচিকায় মরণ এঁটেছে খিল দোরে তার ছেঁড়া ফাঁটা ঝোলা ঝুলে পরে কৃষাঙ্গ কাঁধ বেয়ে অস্থিতে আড়ি তার অসহায় অবলম্বনে চলনা চড়ে আসি স্বপ্নিল পৃথিবীর মায়াবী সিঁড়িতে। কবিতার বুকে‌ বুক সেঁকে প্রেম আর নয় সচল সেখানে সদর্পে আলিঙ্গন রঙিন শারিরীক ব্যাভিচারে। দক্ষিণের বাতাসে সাদা কালোয় কবিতার পাতা জুড়োয় জ্বালা তার ড্যাব ডেবে চেয়ে থাকা চেরা পাতার খাঁজে ঠিকানা তার গঙ্গা আঁকা চিরকুটে। চলো আসন পাতি  স্মরণ সভায় সজাগ শ্রবণে  সেদিনের উচ্চারিত  বুকের শব্দের কবিতা সোচ্চার হতে চায়  ভিতরে আমার। হাতে হাত রাখো জুড়িয়ে আসি অভিলাষ রজনীর আচমানে,  ধূপের ধোঁয়ায় আহ্লাদে, লুটোপুটি আদরে চলনা চড়ে আসি স্বপ্নিল পৃথিবীর মায়াবী সিঁড়িতে যেখানে হাজারো প্রেমিকার  বুক পাতা সোনালী রোদ্দুর আজও আঁক কাটে আকার ইঙ্গিতে ।।

পুতুল খেলা

ছবি
    // পুতুল খেলা //    অ পেক্ষায় ছিলাম, তুমি আসবে, পুতুল খেলা হবে, আমায় বলবে,  কই  কবে তোমার পুতুল বিয়ে ওদের নিয়ে এসো দেখাও দেখি রাজকন‍্যা, রাজপুত্তুর । খেলা হবে, ম‍েরাপ বাঁধা হবে, সানাই বাজবে, আসবে চিত্রকর, ঘোড়াওয়ালা, হালুইকর, মিলবে কন‍্যাযাত্রী, বরযাত্রী সাঙ্গপাঙ্গ, দলবল । অ পেক্ষায় ছিলাম, তুমি আসবে, পুতুল খেলা হবে। ভাবনায় সবই যেন, বেসুরা আলাপ, এখানে এমনই, অনুচ্চারিত শব্দে, অগোছালো ঠোঁট উঠছে কেঁপে বারবার, সামনে দাঁড়ানো দেয়াল, এপারে আমার আমি, ওপারে ওদের আমি, হারিয়েছে সাগর উজান স্রোতে নদী পেরিয়ে খাল হয়ে বিলে ।  সবই আজ অচেনা লাগে, সাগরের চওড়া বুকে ওঠে ঝড়, কাঁপে  বিলাপে, থেকে থেকে, নিরুত্তাপ বিল, বয়ে চলে দুকুলকে তুলে কোলে, আপনতালে, এভাবেই তো একা হয়ে যেতে হয় বাঁধন আলগা হতে হতে বন্ধন মুক্ত হয় । অ পেক্ষায় ছিলাম, তুমি আসবে, পুতুল খেলা হবে । এখন এখানে, সবাই একা হতে চায়, কেউ আগেও নয়, কেউ পেছনেও নয়, ছিদ্রান্বেষণে ব‍্যস্ত সকলে, গাল দিচ্ছে পরস্পরে, আঘাত হানছে একে অপরকে, বলছে গলা ছেড়ে, দুঃখ শুধু তোমারই, সামলে রাখো, ওর কোন ভাগ হবেনা । সবই যদি খেলা হবে, আসল তবে কোথায় কবে? প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নবানে জর্

রজনী জেগে আছো?

ছবি
   // রজনী জেগে  আছো? // ওগো, সুন্দরী ঝর্ণা, খুঁজে পেলাম তোমায়, পাহাড়ের কাঁধ বেয়ে অরণ্যের সাথী হয়ে নদীর কোল জুড়ে।  মুগ্ধ আমি তোমার হাসির মুর্ছনায়, কলকল শব্দে, কবিতার ধ্বনি  কানে বাজে , আরো বাজে, নিটোল পায়ে নুপুরের শিঞ্জন, হারিয়ে যাই আমি একান্তে, আমাতে । তোমার কটিতে রাঙানো  রামধনু রং, পার কি দিতে আমায়? সাজাতে চাই আমি নালার পাশে কুঁড়ে ঘরে  সয়ে থাকা মানুষের সুখ, যাদের কাছে নেই কোন ব্যবধান, সুখে, দু্ঃখে, কাতরে, স্বস্তিতে, আমি তাদেরই একজন। জানি আমি সুখী তুমি, সুখ তোমার বসন, সইবে না কাটা ছেঁড়া দাগ, ললাটে, গালে, চিবুকে, আমি তাই ফিরে যাই  বসতির বাসে, যেখানে সব বাসা হারিয়েছে বাস ঘিরেছে শূয়োরের পাল, চলছে লড়াই কুকুরে মানুষে, রাতের অন্ধকারে আস্তাকুড়ে। অশ্রাব্য গালিতে, চমক আমার, ভাঙ্গে মাঝরাতে, পাশ ফিরে দেখি, সুখ যায় জানালার পাশ ঘেঁষে চাঁদ ঢালা চালের নীচে। বলে যায়, রজনী, আবার আসবো ফিরে, কোন এক পূর্ণিমার জোছনায়, এই চাঁদ ঢালা চালের নীচে দাঁড়াবো জানালার পাশে, ডাকবো চাপা স্বরে "রজনী জেগে আছো? দেখ, সুখ এনেছি, সুখ, চাইলেই দিতে পারি,  দিতেই পারি, এক ফালি সুখ, এক ফালি সুখ" !!

শালিক বউ, শালিক বউ

ছবি
    // শালিক বউ, শালিক বউ // সা ত সকালে শালিক বউ, উঠোন জুড়ে নাচছো তুমি, নাড়ছো-চাড়ছো খাচ্ছো ধান, দেখছো তুমি এধার ওধার সা ত সকালে শালিক বউ, উঠোন জুড়ে নাচছো তুমি। শালিক বউ, শালিক বউ, তুমি কি আমায় চিনতে পারো? নাকি, পরপুরুষ ঠাউরে তুমি তফাতে থাকো? মনে পরে, নবান্নে আলাপ তোমাতে আমাতে, বিন্নি ধানের ক্ষেতে ধান কুড়োতে কুড়োতে শীতের সোনালী সকালে মনের সুখে। শালিক বউ, শালিক বউ, মনে কি পরে তোমার তেমন করে, শালুক বাদাড়ে জলার ধারে আমরা,  ভর দপুরে নির্জনেতে জোড়ায় বসে, কখনও বা শুকনো মাটির ঘাসের ওপর গা নাচিয়ে নাচতে তুমি আপন ঢংয়ে, খেলার ছলে খুনসুটি তোমার নামটি নিয়ে, মান অভিমান, অভিযোগ ,  অনুযোগ , অবশেষে মানভঞ্জনে  গড়ানো জল তোমার চোখে মুছিয়ে দিতাম আলতো ছোঁয়ায় সোহাগভরে। শালিক বউ, শালিক বউ, তুমি কি আজও একলা থাকো? গড়ালে বিকেল, তুমিও  কি ঘ রে ফেরো? বাসা কি তোমার তেমনই আছে যেমন ছিল? ইচ্ছে করে জানতে আমার তোমায় দেখে, কাটছে কেমন এই একলা জীবন থরে থরে? ঝড় বাদলে আজও কি তুমি ভয়ে কাঁপো? জাপটে ধরতে আগবাড়িয়ে আমায় খোঁজো? ঘুম কি তোমার আসে চোখে প্রতিরাতে, আমার কাঁধে মাথা তোমার না নোয়ালে? শালিক বউ, শালিক বউ, সইয়েরা কি তোমায় নিয়

রাত পাহারা

ছবি
   // রাত পাহারা // রাতে তুমি কি রোজ  একাই থাক, রাত পাহারাতে? কেউকি তোমার সঙ্গী হয়ে সঙ্গ দিতে এগিয়ে আসে, গল্পে ,তর্কে ,আহ্লাদে , সময়টাকে ভরিয়ে দিতে ?  রাতে তুমি কি রোজ  একাই থাক, রাত পাহারাতে? জানা অজানা ফুলেরা কি গন্ধে তোমায়  মাতাল করে? সোহাগভরে বিছিয়ে  আঁচল, তোমায়  কি তারা জাপটে ধরে? এমন  পরিবেশে পড়লে পরে, পুলকিত তুমি হতেই পারো, তাই বুঝি উচ্ছাস,  তোমায় আপন ভেবে, উথলে পরে । রাতে তুমি কি রোজ  একাই থাক, রাত পাহারাতে? নিশীথে, আধার ঘিরে, বাদুর, প্যাঁচা, আকাশ জুড়ে , ধরছে মুঠোয় রাজত্বটাকে, তুমি কি তাদের চিনতে পারো? রাতে তুমি কি রোজ  একাই থাক, রাত পাহারাতে? দূর হতে আজ ও কি ভেসে আসে বাতাসে , সুরেলা রমণী   কণ্ঠে  সঙ্গীত, মালকোষ রাগে , কানে বাজে নুপুরের শিঞ্জন, এসরাজের ঝংকার , আজ ও কি তুমি চোখের মনিতে ঝাড়বাতির জলুস জ্বালো? রাতকে "যেওনা এখনই " বলে  আঁচল ধরে বায়না করো? রাতে তুমি কি রোজ  একাই থাক, রাত পাহারাতে? ঝলমলে  তারার আকাশটাকে , চাঁদোয়ার সাজে সাজিয়ে,  লাজুক চোখে, লজ্জাকে কি একান্ত আপন বলে আড়াল করো? রাতে তুমি কি রোজ একাই থাক, রাত পাহারাতে? রাতকে ঘিরেই তো, রহস্য রোমাঞ

পোটোপাড়ার কেষ্ট পোটো

ছবি
  //  পোটোপাড়ার কেষ্ট পোটো //    “ তু মি   পোটোপাড়ার   কেষ্ট   পোটো, দেখার   দৃষ্টি   মেলে দেখছি   আমি   তোমায়, মাথায়   সাদামাখা   ঝাঁকরা   চুল, পরনে   হাঁটুতোলা   ধুতি, পেট ওঠা   মলিন   গেঞ্জী, পায়ের   ভারী   চপ্পলে চাপধরা   এঁটেলে এঁটে   থাকা   পাট চুল, ছিটিয়েছে   রাঙানোর   রঞ্জন হাতের   এপাশে   ওপাশে এগাল   ওগাল   রাঙিয়েছে   রংয়ে । তোমার আঙিনায় গড়েছিলে যাদের, তিলে তিলে, দিবা নিশি অক্লান্ত আয়াসে, তারাইতো পেরিয়েছে প্রাঙ্গন তোমার, পায়ে পায়ে, পৌঁছেছে মন্ডপে মন্ডপে । বলনা পোটো পরখ করে দেখি, দৃষ্টিকে কেড়েছে কেমন তোমার ঐ নান্দনিক সৃষ্টি দর্শকের দরবারে  মন্ডপে মন্ডপে । চিনতে   পারছ   পোটো মন্ডপের   বাইরে   দাঁড়ানো তোমার   গড়া   গড়নকে ? একে   একে   সেজেছে   ওরা মহিলা ,  পুরুষ ,  বৃহন্নলা , সমকামী   পুরুষ   ও   নারী, রূপান্তরকামী   পুরুষ   ও   নারী, সংশয়ের   নেই   কোন   অবকাশ, ঈশ্বরের   সৃষ্টি   জীবন্ত   এমনই । তোমার   হাতের   ছোঁয়া মুগ্ধ   করেছে   মন   সবাকার, দেখনা   থিম   ভাবাচ্ছে   কেমন বলছে   সবাই   সাবাশ   সাবাশ । শুধু   ছিটকে   গেছ   তুমি   নিভৃতে, অপুষ্টির   অশক্ত   শরীরে, দমফাটা   ভি

আরঙা নদী সাঁতরে যাবো

ছবি
 // আরঙা নদী সাঁতরে যাবো // এখানে এখন মেঘের মেলা চৈত্র মাসের ঠিক দুপুর বেলা ছাউনি ছেয়ে কৃষ্ণচূড়া সময় জুড়ে শুধুই খেলা এখানে এখন মেঘের মেলা আমের বনে কুশীর টানে কিশোরী মন উঠল দুলে সইয়ের সাথে সঙ্গোপনে মনের কথা উজার করে এখানে এখন মেঘের মেলা চৈত্র মাসের ঠিক দুপুর বেলা এখন এখানে মেঘের খেলা ইট পাথরে গরাদ ফেলা মাঝ বয়েসী কোমর মাজা যুবতীর বুকে ্জীবণ঩বাঁধা এখন এখানে মেঘ ভেসেছে অনেকটা কাল পেড়িয়ে গেছে মনের সেদিন কষাকষি মারছে উঁকি মনের কাছে এখন এখানে মেঘও আসে মাটির ওপর মানুষ ও আসে উড়ছে পাখী বাতাস বুকে বন পেরিয়ে দালান পাশে খুঁজছি আমি খোঁজার কিছু ছুটছি শুধু তারই পিছু দূর থেকে দেখি তোমায় কুশী হাতে দূবন্ত পানায় আবার আমি কিশোর হব কিশোরীর কুশী কেড়ে নেবো আম বাগানের আল পেড়িয়ে আরঙা নদী সাঁতরে যাবো  সাঁতরে যাবো, সাঁতরে যাবো