পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইচ্ছে হচ্ছে, ইচ্ছে হোক

ছবি
 // ইচ্ছে হচ্ছে, ইচ্ছে হোক // ইচ্ছে হচ্ছে,  ইচ্ছে মত ঘুরব ফিরব, ইচ্ছে হচ্ছে, ইচ্ছে মত উড়বো থামব, ইচ্ছে হচ্ছে, পাঠ নিতে ওদের পাঠশালাতে, পশু, পাখী,  গাছগাছালির ভাষা শিখতে, জোৎস্না রাতে চাঁদের ঘরে বাঁধবো বাসা জড়িয়ে গায়ে চাঁদের আলো পুর্ণিমাতে সারাটা রাত কাটিয়ে দেবো দুজনাতে,  ইচ্ছে হচ্ছে,  ইচ্ছে মত ঘুরব ফিরব, ইচ্ছে হচ্ছে,  ইচ্ছে মত উড়বো থামব।  ভোরের সূর্য ডাকতে এলে,  লজ্জা পাবে, পাখিরা অবাক চোখে দেখবে চেয়ে একে একে, ডালে ডালে বসবে সভা,  আসবে সবাই দলে দলে, বুঝবে যখন নিজের মতন,  নাচবে তখন দুলে দুলে৷ ঘোমটা টানা ভোরের আলো  মেলছে তার ডানা, সদ্যস্নাত খোলাচুলে তার,  আটপৌরে আঁচল টানা, আমায় দেখে মিষ্টি গালে  মিটি মিটি হাসছে সে যে, হচ্ছে মনে, চিনেছে আমায়,  দেখেছে কোন এক দেশে। ঐ শোনা যায়, ডাকছে দূরে,  আপন মনে কোকিল ছানা, বইছে নদী, বইছে বাতাস,  আপন ধন্দে আপন ছন্দে,  হরেক পাখীর হরেক সুর,  মিলেমিশে হচ্ছে একাকার ভাসছে কানে ঐকতানের  অপূর্ব এক সুর বাহার।  নীল আকাশে, মেঘের ভেলা  চলেছে ভেসে ভেসে, পেড়িয়ে রাত পেড়িয়ে দিন,  দেশ হতে দেশান্তরে, ঠিকানা তাদের নেইতো জানা,  বলেনি কেউ কখনো, কখনও সে বৃষ্টি, কখনও সে মেঘ,

রক্ত তার এখনও কত শান্ত

ছবি
  //  রক্ত তার এখনও কত শান্ত  // রক্ত তার এখনও কত শান্ত বোধ এমনই হয় যেন সরীসৃপ নয় অন‍্য প্রকারান্ত রক্ত তার এখনও কত শান্ত । বেড়া টপকে গেছি আমি নজরের নাচার হতে বহু যুগ পেছনে ঠেলে কোন এক ঢেঁকিশালে দেখি তাকে নজর মেলে গাল তার যেমন আছে সেদিনও ছিল তেমনই ঠেকল বদল শুধু আঁচল আড়াল করা শুষ্ক হাসিখানি রক্ত তার এখনও কত শান্ত বোধ এমনই হয় যেন সরীসৃপ নয় অন‍্য প্রকারান্ত। আবার পথ ভুলতে বসেছি আমি ভাবছ এমনই তো ভাবে পথিক প্রজাতি যুগের পিঠে ঠেলে যুগ অখেয়াল অনুশাষনে দিনের অবসানে কালো পিচের কোলে ছায়া তার লুকোয় তেমনই। ব‍্যাস্ত মগজ জুড়োতে দেয়নি কিছুই অকারনে হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি দিনভর কানাকানি অপেক্ষায় নিশ্চিন্ত একান্তে একফালি অবসরে। অস্তাচলে আঁচল বিছানোর ছলে চেয়ে থাকি ঢেউ দেখি  বাতাসের গান শুনি শানানো শীর্ণ গলির পথে বৈশাখের উরন্ত বাতাস সুরভাজে আজও তেমনই। হাতরাতে চাই হাতের  নাগালের খাঁজে খোয়া যাওয়া জুড়োনো ভালোবাসা শাসায় শিহরণ শঙ্কিত শঙ্কায় পাঁজরে পাঁজরে স্পর্শতার  পড়েছে  পরশে বোধে বেয়ে যায় সে আজ এমনই। রক্ত তার এখনও কত শান্ত বোধ এমনই হয় যেন সরীসৃপ নয় অন‍্য প্রকারান্ত রক্ত তার এখনও কত শান্ত ।   রক্ত তার এখনও কত শা

সোচ্চার হোক নারী কন্ঠ

ছবি
                                                    //  সোচ্চার হোক নারী কন্ঠ  // নারীর নাড়ি কেটে পুরুষের আলো দেখা, নারীর কোলেতে ক্রমে তার বেড়ে ওঠা, নতজানু হয়ে প্রার্থনায় অর্থ, যশ, শক্তি চাওয়া নারীকেই শোষন, নারীকেই আঘাত, নারীকেই পসরা, লালসার শিকারে, লুন্ঠনে নারীর সম্ভ্রম, নারীকেই ধর্ষণ, নারীকেই  জ্বালিয়ে রাতের আঁধারে, কামনার কলঙ্ক নির্মূল ধরণীতে চিরতরে। নারী, আর কত নীচু হবে ঈশ্বর? দিয়েছো জন্ম কিন্তু কেড়েছো অধিকার শতাব্দী উতরে শতাব্দী বেঁধেছো তাকে সংযম, সহ্য সহিষ্ণুতার ঘেরা বাঁকে ধারণ করতে দিয়েছো আধার ধরতে বারণ অনেক কিছুই তার যুগে যুগে সওয়ারি হয়েছে পুরুষ নারীর পিঠে লাগাম হাতে অত্যাচার, অবহেলা, লাঞ্ছনায় গুমরে থাকা মন ঘরের কোনে। খাঁচার পাখী ডানা ঝাপটায় চেয়ে থাকে নীলাভ আকাশে মুক্তির খোঁজ চায় চোখ তার। দেবী বিসর্জনে নীলকন্ঠ পাখী উড়ে যায় ডানা মেলে আকাশে ওকে সে বলে, বলেদিও দরবারে, সমতা চাইছি আমরা, সহমর্মিতা নয়।  পুরুষের পাশাপাশি চলতে চাই পরাধীনতা নয় আর, নয় নিগ্রহতা, অবলা অবগুন্ঠন সরে গেছে আজ, অবারিত গতি জলে স্থলে অন্তরীক্ষে, নারী চাইছে স্বাধিকার  ধর্মে, কর্মে, সহবতে, চিৎকার করে নাড়া নাড়ছে নারী

গলার তালে, পাগল হাওয়া

ছবি
  //  গলার তালে, পাগল হাওয়া  // লেগেছে এবার, গলার তালে, পাগল হাওয়া, ছুটছে সে, ছুটবে সে, দমবে না সে, ক্ষইবে না সে, এ যেন পাগল মনে সাঁকো নাড়া লেগেছে এবার, গলার তালে, পাগল হাওয়া। বইঠার বাহন হুমড়ি খেয়ে লুটিয়ে পড়ে, মেঠো আলে, নদীর পারে, হকচকিয়ে তাকায় মাঝি, এদিক ওদিক, ফস্কে গেছে তার মুঠির রশি, এবার তাদের মুক্তি বুঝি লেগেছে এবার, গলার তালে, পাগল হাওয়া। হাঁক মারে, গলা ছেড়ে, পাড়ের মাঝি   শুনছো, ওগো শুনছো, আগলে রাখো, শক্ত হাতে, হালের সাথে, পালের কাছি শুনছো, ওগো শুনছো। বদ্ধদমে ছুটছে নাও, দমবে না সে, রুখবে না সে, শুনবে না সে, কারো শাষন, চাইছে সে মুক্তির স্বাদ নীলাভ আকাশে নীচে, প্রাণখোলা বাতাসে লেগেছে এবার, গলার তালে, পাগল হাওয়া। উত্তুরে হাওয়ায়, তেওহার শেষে, সওদা সেরে, শ্রোতা বোঝাই এই নাওয়ে, হাসিমুখে, এসো ফিরে  এই বাটে। বরণডালা হাতে, গ্রাম‍্য বধু, ঠায় দাঁড়িয়ে আজও, ছাওয়াল সাথে, বুক খোলা গ্রামের এই ঘাটে লেগেছে এবার, গলার তালে, পাগল হাওয়া পাগল হাওয়া পাগল হাওয়া।।

সৃষ্টি, স্থীতি, বিনাশ

ছবি
   //  সৃষ্টি, স্থীতি, বিনাশ // তিন যুগ পেরিয়ে এলেম আবার, দেখতে তোমায়, "আছো কেমন"? হচ্ছে মনে, ছিলে যেমন তেমনই আছো, আদলে, তেমনটি ফারাক নেই যে কোনো৷ পাহাড় তুমি ঘুমিয়ে আছ, এমন করে, হাত পা গুঁজে উপুর হয়ে ঘাপটি মেরে, ডাকছি তোমায় বলছি, "জাগো, জাগো" তবুও নিথর তুমি, ভ্রক্ষেপ নেই যে কোন ৷ সূর্যের ঝলমলে আলোয়  দৃষ্টি মেলে দেখি যে তোমার রুপোলি অঙ্গে সোনালি সুখ, সবুজে সবুজে বিলীন বনানী, হাতছানি দেয়, দেখাবে বলে, মন ভোলানো এমন সে রূপ ৷ সাত সকালে সেজেছো তুমি, নববধূ বেশে স্নিগ্ধ সাজে, রাঙিয়েছো টিপ কপাল জুড়ে, সূর্যকে সাজের সঙ্গী করে৷ টুকরো টুকরো মেঘের দল  চুমে যায় চিবুক তোমার চলতে চলতে চলার পথে, কানে কানে কিছু কি বললো তারা সোহাগ ভরে আপন করে ? হঠাৎ করে কি যে ঘটল এমন , মতিগতিতে মেঘেদের হলো আমূল অদল বদল, ওপর হতে মেঘ দিলো বিছিয়ে বাদল ভরা মেঘের আঁচল ৷ ক্ষনিকে, আকাশ ঘিরে ঘণ ঘণ মেঘেদের গর্জন, চারিধার ঢেকেছে গাড়ো অন্ধকারে, বিদ্যুতের ঝলকে ঝলকে আলো আঁধারির খেলা চলে, বিস্তীর্ণ আসমানের কোল জুড়ে ৷ বাঁধভাঙা বর্ষণ ছিঁড়ছে বাঁধন, পাহাড়ের আঁচলে আঁচলে, ভাঙছে পাহাড় নাবছে ধ্বস অবাধ গতিতে

প্রজাপতির সাতাশ দিন

ছবি
   // প্রজাপতির সাতাশ দিন // প্রজাপতি, ডানা বেচবে ডানা,  ঘর সাজাবো ৷ প্রজাপতি, ফুল তুলবে ফুল,  মালা গাঁথবো   ৷ হরেক ফুলের, হরেক মালা, আমার চাই চাই-ই চাই, জুঁই সন্ধ্যায় নয়, লগ্নভ্রষ্টায় ছাদনা তলায়   ৷ প্রজাপতি, ডানা বেচবে ডানা,  ঘর সাজাবো ৷ প্রজাপতি, ফুল তুলবে ফুল,  মালা গাঁথবো   ৷ সাতাশ দিনের অন্তরে, এসো ফিরে বারে বারে, অঙ্গন পেরিয়ে আমার ঘরে, কেবল বদলে দিও পাখনা, নতুন রঙে নতুন ঢঙে৷ চাই গো আমার আরও কিছু, অনেক রঙ, অনেক কিছু, হিমালয়ের শুভ্রতা চাই, রূপকামিনীর কোমলতা চাই, স্বর্ণলতার আঁচল চাই, কাজল লোটার টিপ চাই, প্রাণের সখের আয়না চাই, নজরে নজর ঠুকতে চাই, বিশেষ বিলাপে নয় পাষাণের বুকে কোন এক ইঙ্গিতে ইপ্সিত অভিলাষে প্রজাপতি, ডানা বেচবে ডানা,  ঘর সাজাবো ৷ প্রজাপতি, ফুল তুলবে ফুল,  মালা গাঁথবো   ৷ ।।