পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নিজের চোখে দেখি

ছবি
  // নিজের চোখে দেখি // যখন যা দেখি নিজের চোখে দেখি, যখন যা শুনি নিজের কানে শুনি,‌ যখন যা বুঝি নিজেই বুঝি। রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে  হঠাৎ দেখা হ'লে, তোমার দিকে চোখ মেলে দেখি, খবরের কাগজের হেডলাইন দেখি, সিনেমার পোস্টার দেখি,   নিজের চোখে দেখি। রাস্তা দিয়ে চলার কালে, কোন অ্যাকসিডেন্ট চোখে পড়লে  থমকে দাঁড়াই, একবার চেয়ে দেখি, সামনে তাকিয়ে চলতে থাকি। মিছিলের মাঝে পড়ে গেলে, ফাঁক খুঁজি নিজেকে  গলাতে, পেরিয়ে যেতে ওপারে। অপরের দুঃখ, নিজের কাছে আপন করে নেব না বলে পথ খুঁজি নিজেকে এড়িয়ে যেতে, অপরের ছুটকো - ছাটকা ঝামেলা, তাও এড়িয়ে যাই । স্বপ্ন দেখার সময়, নিজের মনের ভিতর, চাওয়া পাওয়ার  খুঁটিগুলো  সাজিয়ে নিই অংক কষার মত পারমুটেশন কমবিনেশন করে । যা দেখি  নিজের চোখে দেখি, যা ভাবছি নিজের মত ভাবি, যা শুনি  নিজের কানে  শুনি ।  কখনও কখনও চাঁদের দিকে তাকালে, ইচ্ছে করে মানে মনে, ভালোবাসার পথ খুঁজি, নিজের চোখে দেখি, নিজে ভাবি, নিজে মনে রাখি । পথ চলতি মানুষ দেখলে পরে, নিজের মনে কোন আ‌ঁক কাটি না, আমি নিজে দেখি, বুঝিনা কিছু । কাঁচের গাড়ীতে করে, পাশ দিয়ে কোনো শব চলে গেলে, নিঃশব্দে তার করুণ মুখে

অনুভবে - মেঘ

ছবি
   // অনুভবে - মেঘ  //   এ লে   যদি   এতকাল   বাদে, কেন   কড়া   নাড়তে   গেলে হাজির   হয়ে   দোরগোড়াতে ? উঁচুতে   একটু   হাতরালেই তো কলিংবেলটার   নাগাল   পেতে । সংশয়   হয়তো   ছিল   এমনই , তোমাকে   সাক্ষাতে   দেখে   এভাবে , এখানে   সবাই   যাবে   চমকে , থমকে   যাবে   ভাষা   তাদের পরিচয়ের   নাগাল   পেতে । দ্বিধা   দ্বন্দ্বের   দোটানা   এমনই হঠাৎ   এমন   হাজির   হওয়া না   জানিয়ে   এত   কাল   বাদে কে   কিভাবে   নেবে ,  এই   ভেবে । না ,  না ,  আমি   কিন্তু ঠিকই   চিনেছি   তোমায় ঝুলবারান্দায়   ঝুঁকে কাপড়   মেলে   দিতে   দিতে , হ্যাঁ ,  এখন   আর   আমি দশম   শ্রেনীর   সেই   বৃষ্টি   নই বিশ্ববিদ্যালয়ের   পাঠ   চুকিয়ে শামিল   জীবন   যুদ্ধে । মনে   পড়ে   মেঘ , তুমি   কেমন   বোকা   বোকা   ছিলে , নটার   সাইরেনে   যখন , আমি   স্কুলবাসের   অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছাউনির নিচে তুমি   কোচিং   ফেরত   আসতে ছুটতে ছুটতে   দেখতে   আমায় মনে   হতো ,  তুমি   কিছু   বলতে   চাও , কিন্তু   পারোনি । অনুসরণ   করতে   করতে আমার   বাড়িটা   চেনা   তোমার । সেই   শেষ   দেখা   তোমাকে , সেই   শেষ   ছোঁয়া   তোমাকে , স্কুলের   সঙ্গীত  

সবাই তো বাঁধে বাসা

ছবি
    //  সবাই তো বাঁধে বাসা   // সবাই তো বাঁধে বাসা ঘর আর বাঁধে কতজন, ভাল তো সবাই বাসে মন আর পায় কতজন সবাই তো বাঁধে বাসা ঘর আর বাঁধে কতজন | প্রান্তর পেরিয়েছি বছর বছর বোঝাকি গেল আজও কারো অন্তর, সকলেই যায় কোথা  দেখি সারাক্ষণ, মন আর পায় কতজন ভাল তো সবাই বাসে ঘর আর বাঁধে কতজন || হয়তো বা অনুরাগে জল  চোক্ষে আসে কেউ শোকে, কেউ দু:খে  আজও তবু হাসে, কত ছলে খুঁজে ফিরি কাটে কত ক্ষণ, ধরা তবু দেয়না গহন ভাল তো সবাই বাসে মন আর পায় কতজন সবাই তো বাঁধে বাসা ঘর আর বাঁধে কতজন,   ভাল তো সবাই বাসে মন আর পায় কতজন ভাল তো সবাই বাসে মন আর পায় কতজন ||

তুমি ভাবতেই পারো

ছবি
/ /   তুমি ভাবতেই পারো // "জীবনের শেষ প্রান্তে প‍ৌঁছে, ছাড়ছি আমি ধীরে ধীরে, সব ছাড়ব বলে, নিরন্তর নিস্তারে, আগাপাছতলা ভেবে ।" এমন ভাবনা ভাবালো তোমায় কেমন করে ? ভাবার মতো আছে অনেক কিছুই তোমার কাছে, আদ‍্যোপান্ত  যাচাই করে  বাস্তববাদী  হতেই পারো। যে কাল, গেছে চলে, তা যাক, একাল, অগোছালো রয়েছে এমন, আলস‍্যে তাও নয় ভেসে থাক, আগামী দিন হতে পারে কেমন, তাই নিয়ে কল্পনায় মগ্ন, যে যার মতন, চুলচেরা বিশ্লেষণে মদত তুমি দিতেই পারো। বিশ্বজুড়ে কে কেমন আছে, তা নিয়ে ভাবার এইতো সময়, না, অনধিকার চর্চা নয় একেবারেই, চাইলে মতামত তুমি রাখতেই পারো। চোখ রাখো, বৈদ‍্যুতিক মাধ‍্যমের উত্তেজিত প্রচারে, খবরে খবর , হিমের   হামাগুড়ি  শিরায় উপশিরায়, দামামা বেজেছে যুদ্ধের, বরফের দেশে, বোমারু বিমান হানছে আঘাত অহরহ, প্রসূতি সদনে, অসহায় রোগীর হাসপাতালে, আবাল বৃদ্ধ বনিতা নিস্তার নেই কারো, গাছপালা পশু পাখি,  রেয়াত  করেনি তাদেরও, চারিধারে লাশের স্তুপে   ধিক্‌ধিক্‌   আগুন, বাতাসে রাসায়নিক মারণাস্ত্রের ঘ্রাণ, নির্লজ্জ  শক্তিমানের শক্তির  ব‍্যভিচার , ক্ষমতার লালশায় লিপ্ত ক্ষমতা কায়েমে, অসহনীয়তা জেগেছে বিশ্ববাসীর অন্দরে অন্দ

প্রতিবাদ করতে জানি

ছবি
                                               //  প্রতিবাদ করতে জানি  //  মেরুদন্ডটা কখন যে খোয়া গেছে   কে জানে, খবর নেই কোন ৷  প্রতীকী মেরুদন্ডটা এনেছকি?  এনে  যদি থাক  রাখ এখানে পরখ করে দেখতে চাই  ছুঁতে চাই বুঝতে চাই গঠন তার হতে হবে কেমন কতটা ঋজু কতটা কোমল কতটা মজবুত কতটা ভঙ্গুর ৷ তুমি আসবে বলে কখন থেকে হাতরাচ্ছি  খুঁজছি আমি মেরুদন্ডটাকে আদ্যপান্ত সর্বাঙ্গ জুড়ে পায়ের চেটো হতে মাথার তালু নখ থেকে কেশ  ডাইনে বাঁয়ে সামনে পেছনে হদিস তার মেলেনি এখনও যৎপরোনাস্তি বেহাল দশা আমার কোথায় গেল মেরুদন্ডটা কোথায়ইবা যেতে পারে তোমরা দেখেছ কি? দাঁড়াও দাঁড়াও এক দন্ড একটু আমায় ভাবতে দাও তবেকি অকেজো ভেবে  সেটাকে রেখেছি ভাগাড়ে? কিংবা বিবেকের সংঘাতে  ভোগ লালসার দাপটে কালচক্রে লুপ্ত হোয়েছে  অস্তিত্ব তার ধীরে ধীরে চিরতরে? আচ্ছা এটাওতো হতে পারে আদৌ সেটা ছিলই না কখন ৷ না না জন্মলগ্ন থেকেই  রয়েছে সে সঙ্গে সবার লজ্জায় অসন্মানে  হয়েছে সে লাচার সময় এসেছে শুধরে নেবার ধৈর্যের পরীক্ষায় উতরে যাবার এসো মেরুদন্ডটা মজবুত করি মাথা উঁচু করে চোখে চোখ রাখি বলিষ্ঠ কন্ঠে বলি  ভয় নেই বন্ধু ভয় নেই হাতে হাত ধর ভরস