পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শালিক বউ, শালিক বউ

ছবি
    // শালিক বউ, শালিক বউ // সা ত সকালে শালিক বউ, উঠোন জুড়ে নাচছো তুমি, নাড়ছো-চাড়ছো খাচ্ছো ধান, দেখছো তুমি এধার ওধার সা ত সকালে শালিক বউ, উঠোন জুড়ে নাচছো তুমি। শালিক বউ, শালিক বউ, তুমি কি আমায় চিনতে পারো? নাকি, পরপুরুষ ঠাউরে তুমি তফাতে থাকো? মনে পরে, নবান্নে আলাপ তোমাতে আমাতে, বিন্নি ধানের ক্ষেতে ধান কুড়োতে কুড়োতে শীতের সোনালী সকালে মনের সুখে। শালিক বউ, শালিক বউ, মনে কি পরে তোমার তেমন করে, শালুক বাদাড়ে জলার ধারে আমরা,  ভর দপুরে নির্জনেতে জোড়ায় বসে, কখনও বা শুকনো মাটির ঘাসের ওপর গা নাচিয়ে নাচতে তুমি আপন ঢংয়ে, খেলার ছলে খুনসুটি তোমার নামটি নিয়ে, মান অভিমান, অভিযোগ ,  অনুযোগ , অবশেষে মানভঞ্জনে  গড়ানো জল তোমার চোখে মুছিয়ে দিতাম আলতো ছোঁয়ায় সোহাগভরে। শালিক বউ, শালিক বউ, তুমি কি আজও একলা থাকো? গড়ালে বিকেল, তুমিও  কি ঘ রে ফেরো? বাসা কি তোমার তেমনই আছে যেমন ছিল? ইচ্ছে করে জানতে আমার তোমায় দেখে, কাটছে কেমন এই একলা জীবন থরে থরে? ঝড় বাদলে আজও কি তুমি ভয়ে কাঁপো? জাপটে ধরতে আগবাড়িয়ে আমায় খোঁজো? ঘুম কি তোমার আসে চোখে প্রতিরাতে, আমার কাঁধে মাথা তোমার না নোয়ালে? শালিক বউ, শালিক বউ, সইয়েরা কি তোমায় নিয়

রাত পাহারা

ছবি
   // রাত পাহারা // রাতে তুমি কি রোজ  একাই থাক, রাত পাহারাতে? কেউকি তোমার সঙ্গী হয়ে সঙ্গ দিতে এগিয়ে আসে, গল্পে ,তর্কে ,আহ্লাদে , সময়টাকে ভরিয়ে দিতে ?  রাতে তুমি কি রোজ  একাই থাক, রাত পাহারাতে? জানা অজানা ফুলেরা কি গন্ধে তোমায়  মাতাল করে? সোহাগভরে বিছিয়ে  আঁচল, তোমায়  কি তারা জাপটে ধরে? এমন  পরিবেশে পড়লে পরে, পুলকিত তুমি হতেই পারো, তাই বুঝি উচ্ছাস,  তোমায় আপন ভেবে, উথলে পরে । রাতে তুমি কি রোজ  একাই থাক, রাত পাহারাতে? নিশীথে, আধার ঘিরে, বাদুর, প্যাঁচা, আকাশ জুড়ে , ধরছে মুঠোয় রাজত্বটাকে, তুমি কি তাদের চিনতে পারো? রাতে তুমি কি রোজ  একাই থাক, রাত পাহারাতে? দূর হতে আজ ও কি ভেসে আসে বাতাসে , সুরেলা রমণী   কণ্ঠে  সঙ্গীত, মালকোষ রাগে , কানে বাজে নুপুরের শিঞ্জন, এসরাজের ঝংকার , আজ ও কি তুমি চোখের মনিতে ঝাড়বাতির জলুস জ্বালো? রাতকে "যেওনা এখনই " বলে  আঁচল ধরে বায়না করো? রাতে তুমি কি রোজ  একাই থাক, রাত পাহারাতে? ঝলমলে  তারার আকাশটাকে , চাঁদোয়ার সাজে সাজিয়ে,  লাজুক চোখে, লজ্জাকে কি একান্ত আপন বলে আড়াল করো? রাতে তুমি কি রোজ একাই থাক, রাত পাহারাতে? রাতকে ঘিরেই তো, রহস্য রোমাঞ

পোটোপাড়ার কেষ্ট পোটো

ছবি
  //  পোটোপাড়ার কেষ্ট পোটো //    “ তু মি   পোটোপাড়ার   কেষ্ট   পোটো, দেখার   দৃষ্টি   মেলে দেখছি   আমি   তোমায়, মাথায়   সাদামাখা   ঝাঁকরা   চুল, পরনে   হাঁটুতোলা   ধুতি, পেট ওঠা   মলিন   গেঞ্জী, পায়ের   ভারী   চপ্পলে চাপধরা   এঁটেলে এঁটে   থাকা   পাট চুল, ছিটিয়েছে   রাঙানোর   রঞ্জন হাতের   এপাশে   ওপাশে এগাল   ওগাল   রাঙিয়েছে   রংয়ে । তোমার আঙিনায় গড়েছিলে যাদের, তিলে তিলে, দিবা নিশি অক্লান্ত আয়াসে, তারাইতো পেরিয়েছে প্রাঙ্গন তোমার, পায়ে পায়ে, পৌঁছেছে মন্ডপে মন্ডপে । বলনা পোটো পরখ করে দেখি, দৃষ্টিকে কেড়েছে কেমন তোমার ঐ নান্দনিক সৃষ্টি দর্শকের দরবারে  মন্ডপে মন্ডপে । চিনতে   পারছ   পোটো মন্ডপের   বাইরে   দাঁড়ানো তোমার   গড়া   গড়নকে ? একে   একে   সেজেছে   ওরা মহিলা ,  পুরুষ ,  বৃহন্নলা , সমকামী   পুরুষ   ও   নারী, রূপান্তরকামী   পুরুষ   ও   নারী, সংশয়ের   নেই   কোন   অবকাশ, ঈশ্বরের   সৃষ্টি   জীবন্ত   এমনই । তোমার   হাতের   ছোঁয়া মুগ্ধ   করেছে   মন   সবাকার, দেখনা   থিম   ভাবাচ্ছে   কেমন বলছে   সবাই   সাবাশ   সাবাশ । শুধু   ছিটকে   গেছ   তুমি   নিভৃতে, অপুষ্টির   অশক্ত   শরীরে, দমফাটা   ভি

আরঙা নদী সাঁতরে যাবো

ছবি
 // আরঙা নদী সাঁতরে যাবো // এখানে এখন মেঘের মেলা চৈত্র মাসের ঠিক দুপুর বেলা ছাউনি ছেয়ে কৃষ্ণচূড়া সময় জুড়ে শুধুই খেলা এখানে এখন মেঘের মেলা আমের বনে কুশীর টানে কিশোরী মন উঠল দুলে সইয়ের সাথে সঙ্গোপনে মনের কথা উজার করে এখানে এখন মেঘের মেলা চৈত্র মাসের ঠিক দুপুর বেলা এখন এখানে মেঘের খেলা ইট পাথরে গরাদ ফেলা মাঝ বয়েসী কোমর মাজা যুবতীর বুকে ্জীবণ঩বাঁধা এখন এখানে মেঘ ভেসেছে অনেকটা কাল পেড়িয়ে গেছে মনের সেদিন কষাকষি মারছে উঁকি মনের কাছে এখন এখানে মেঘও আসে মাটির ওপর মানুষ ও আসে উড়ছে পাখী বাতাস বুকে বন পেরিয়ে দালান পাশে খুঁজছি আমি খোঁজার কিছু ছুটছি শুধু তারই পিছু দূর থেকে দেখি তোমায় কুশী হাতে দূবন্ত পানায় আবার আমি কিশোর হব কিশোরীর কুশী কেড়ে নেবো আম বাগানের আল পেড়িয়ে আরঙা নদী সাঁতরে যাবো  সাঁতরে যাবো, সাঁতরে যাবো